
স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার কেরণখাল ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের ওপর নিপীড়ন, জোরপূর্বক অন্যের জমি থেকে মাটি কাটা ও বিক্রি,জমি দখলসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগের তীর কেরণখাল ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের শহীদ ভূঁইয়ার ছেলে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভূঁঞার দিকে।দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া এলাকায় সেলু মেশিন চোর ও ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত।ভোক্তভোগী তেঘরিয়া গ্রামের মৃত অলিউল্লাহ পুলিশের স্ত্রীর জানায়,দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া আমাদের জমিও জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে।তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন,দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া আগে চুরি করতো এলাকায় সেলু মেশিন চুরি করতে গিয়ে ধরা খেয়ে গ্রাম্য শালিশে জুতা মালাও পড়ানো হয়। তারপর প্রতারণা করে মানুষের টাকা হাতিয়ে ইতালি চলে যায় সেখানে গিয়ে অবৈধ ভাবে মাদকের ব্যবসা শুরু করে রাতারাতি আঙ্গুল ফোলে কলাগাছ বনে যায়।তারপর এলাকায় এসে টাকার বিনিময়ে হয়ে যায় আওয়ামীলীগের বড় প্রভাবশালী নেতা তারপর থেকে কিছুদিন ইতালি থাকেন আবার বাংলাদেশে আসেন। এভাবে শুরু হয় এলাকায় তার প্রভাব বিস্তার।গত প্রায় ১৬ বছর ধরে দেলোয়ার হোসেন ভূঁঞা প্রভাব খাটিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের জমিতে জোরপূর্বক মাটি কেটে বিক্রি করেছেন। এতে বহু কৃষক ও জমির মালিক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এমনকি সামাজিকভাবে কোণঠাসা করার অভিযোগও করেন তারা।ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, ইউনিয়নের একাধিক স্থানে সরকারি ও বেসরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে মাটি ব্যবসা পরিচালনা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় দীর্ঘদিন কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পাননি বলেও অভিযোগ ওঠে।একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী জানান,আমার নিজের জমি থেকে কোনো অনুমতি ছাড়াই মাটি কেটে নিয়ে গেছে। বাধা দিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। আমরা সাধারণ মানুষ, প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাই না।স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, এসব অনিয়ম ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের কারণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। কৃষিজমি নষ্ট হওয়ায় ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং এলাকার স্বাভাবিক জলপ্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন ভূঁঞার বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন দাবি করেন, এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,যদি নির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিনের এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তারা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পায় এবং এলাকায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।