দেবীদ্বারে ঘুমন্ত নারীকে মাথায় ধারালো অস্ত্রের ঘাতে খুন! দেবীদ্বারে ঘুমন্ত নারীকে মাথায় ধারালো অস্ত্রের ঘাতে খুন! কুমিল্লার খবর কুমিল্লার খবর Cumillarkhobor প্রকাশিত: ২:২৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২৫ দেবীদ্বারে ঘুমন্ত নারীকে মাথায় ধারালো অস্ত্রের ঘাতে খুন! এবিএম আতিকুর রহমান বাশার,দেবীদ্বার প্রতিনিধি।। কুমিল্লার দেবীদ্বারে এক নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও খুচিয়ে খুণ করেছে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দিবাগত রাতে দেবীদ্বার পৌর এলাকার সাইলচর গ্রামের আরিসের বাড়িতে। নিহত নারী ঝরনা বেগম(৪৮) সাইলচর গ্রামের ইলেক্ট্রিক মিকানিক আব্দুল করিমের স্ত্রী। স্থানীয় সাইফুল ইসলাম সবুজ, আলম মনির, শাহআলমসহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, নিহত ঝরণা বেগমের ৩ পুত্র ও ২ কণ্যা সন্তান রয়েছে। দুই ছেলে শরিফ(৩০) ও আরিফ (২৮) সৌদী প্রবাসী, বড় ছেলে সবুজ(৩২) ট্রাক্টর চালক। ২ মেয়ে নিপা(৩৫) ও লুবনা(২৫)’র বিয়ে হয়ে গেছে। নিহতার দেবর ভাসুরদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ আছে। তবে ঝরনা বেগমের সাথে পাশর্^বর্তী বড়আলমপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র ইয়াবা ব্যবসায়ি দেলোয়ার হোসেনের সাথে পরকীয়া ছিল। প্রায়ই কুমিল্ল্-াসিলেট আঞ্চলিক মহা সড়কের পাশে সাইলচর চা দোকানে ঝরনার সাথে প্রায়ই তাদের আড্ডা হত। রাত ১১-১২ টায় বাড়ি ফিরত। ওই মহিলা তার স্বামীকে রাতে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে ঘরের উত্তর পাশের জানালা দিয়ে পালিয়ে যেত। মাঝে মাঝে ২/৩ দিন বেড়ানোর কথা বলে নিরুদ্দেশ থাকত। ঘটনাটি ডাকাতি বা চুরির উদ্দ্যে হয়নি। তাহলে মৃতার পাশে ২ টি মোবাইল, কানের স্বর্ণের দুল এবং গলায় রুপার চেইন থাকতনা। মোবাইলগুলোর ফোন নম্বর ট্রেক করলেই সত্য বেড়িয়ে আসবে। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়রা পরকীয়া, জমিসংক্রান্ত বিরোধ এবং স্বামী- স্ত্রীর মনমালিন্যে হতে পারে বলেও জানান। হত্যাকান্ডের সময় ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। নিহতার স্বামী আব্দুল করিম জানান, তার স্ত্রীর সাথে পারিবারিক নানা বিষয়ে দূরত্ব ছিল দির্ঘদিনের। দু’জন দু’বিছানায় ঘুমাতেন। প্রায়ই তার স্ত্রী তাকে অসুস্থ্যতার কারনে ঘুমের ঔষধ খাওয়াতেন। খেতে না চাইলে জোর করে ঘুমের ঔষধ খাওয়াতেন। গত রাত অনুমান ৮ টায় তার স্ত্রী তাকে ৮টি ঘুমের টেবলেট খাইয়েছেন। খাওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে উঠে দেখেন, তার স্ত্রী ঘমুন্ত অবস্থায় মরে আছে। তার মাথা থেতলানো এবং রক্তাক্ত। নিহতার বড় মেয়ে নিপা (৩৫) চিৎকার করে বলেন, আমার আগে থেকেই সন্দেহ ছিল, আমার মা’কে মেরে ফেলা হবে। কিন্ত কি কারনে, কারা মারতে পারে এ বিষয়ে তিনি কোন কথা বলেননি। ঘটনার পর থেকে বড় ছেলে সবুজ নিখোঁজ রয়েছে। এ ব্যাপারে দেবীদ্বার-ব্রাক্ষণপাড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহীন বলেন, হত্যাকান্ডের বিষয়টি নানামূখী, আমরা তদন্ত করছি। তবে তার মাথায় ৩টি ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। যেগুলো ইলেক্ট্রিক প্লাস বা স্ক্রড্রাইভারের আঘাত হতে পারে। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্তের বিষয়। দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, এ মূহুর্তে কিছু বলতে পারবনা। তবে তাকে পরিকল্পিতভাবে খুণ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। SHARES অপরাধ বিষয়: দেবীদ্বারে ঘুমন্ত নারীকে মাথায় ধারালো অস্ত্রের ঘাতে খুন!