চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নাজেহাল করার ঘটনায় জামায়াতের নিন্দা ও ঘটনার সাথে জড়িতদের বহিষ্কার! চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নাজেহাল করার ঘটনায় জামায়াতের নিন্দা ও ঘটনার সাথে জড়িতদের বহিষ্কার! কুমিল্লার খবর কুমিল্লার খবর Cumillarkhobor প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নাজেহাল করার ঘটনায় জামায়াতের নিন্দা ও ঘটনার সাথে জড়িতদের বহিষ্কার! কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি।। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভাইরাল হওয়া মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে লাঞ্চিতের ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে জামায়াত। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আমীর এড. মু. শাহজাহান, জেলা সেক্রেটারি ড. সরওয়ার উদ্দিন ছিদ্দিকী, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমীর মু. মাহফুজুর রহমান ও উপজেলা সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন ২৩ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, “দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্চনার ঘটনার প্রতি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। আমরা এই দুঃখজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।যুক্ত বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। জামায়াতে ইসলামী শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা নয়, দেশের সাধারণ কোনো নাগরিককেও হেনস্তা করা সমর্থন করে না। এই দুঃখজনক ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করার জন্য আমরা সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।তারা বলেন, এই ঘটনার সাথে জড়িতরা জামায়াতে ইসলামীর কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী নয়। জামায়াতে ইসলামীর কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই সমর্থন করে না এবং প্রশ্রয় দেয় না। আমরা স্থানীয়ভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে জেনেছি যে, জনাব আবদুল হাই কানু তার নিজ এলাকায় হত্যা মামলাসহ ৯টি মামলার আসামী। আমরা মনে করি, এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। আমরা ঘটনার সাথে জড়িত ঢাকায় অবস্থানকারী আবুল হাশেম ও দুবাই ফেরত অহিদুর রহমানের শাস্তি দাবি করছি এবং কোনো অবস্থাতেই দেশবাসীকে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, আমরা মু. আবুল হাশেম, পিতা-মৃত আবদুল বারেক, সাং-কুলিয়ারা এবং মু. ওহিদুর রহমান, পিতা-মৃত শফিকুর রহমান, সাং-কুলিয়ারা সহ এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি এবং জামায়াতে ইসলামীর শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ভাব-মর্যাদার ক্ষুণ্ম করায় সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার ঘোষণা করছি।”উল্লেখ্য রবিবার দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আ’লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্চিত করা হয়। এ নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনায় জড়িতদের জামায়াত সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত করে আবদুল হাই কানু। SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে জুতার মালা পড়িয়ে হেনস্থার ভিডিও ভাইরাল