স্টাফ রিপোর্টার।।
একসময় আকবর হোসেন গ্রুপ বনাম বেগম রাবেয়া চৌধুরী গ্রুপ, আবার কখনো মনিরুল হক সাক্কু বনাম আমিন উর রশিদ ইয়াছিন—এই দ্বন্দ্বের রাজনীতি আজ নতুন নামে, নতুন রূপে চলমান। বর্তমানে মনিরুল হক চৌধুরী মনাম গ্রুপ ও আমিন উর রশিদ ইয়াছিন গ্রুপের বিভাজন কুমিল্লার রাজনীতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।গ্রুপ রাজনীতির কুফল কুমিল্লাবাসী নতুন করে দেখছে না। আফজাল খান বনাম হাজী বাহার গ্রুপের অতীত কর্মকাণ্ড আজও মানুষের মনে তিক্ত স্মৃতি হয়ে আছে। নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব, আধিপত্য বিস্তার আর প্রতিহিংসার রাজনীতি দলীয় ঐক্যকে দুর্বল করেছে, ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সাধারণ কর্মী ও সমর্থকদের।এর চেয়েও দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক হলো—ইমরান খানের মৃত্যুর পর কিছু মহলের মিষ্টি বিতরণের খবর। একজন মানুষের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এমন অমানবিক আচরণ রাজনীতির নৈতিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে। আবার হাজী বাহারের পতনের পর কেহ কেহ তৃপ্তির হাসি ছড়িয়েছেন,এই রাজনীতি আদর্শের নয়, বরং প্রতিহিংসা ও হিংস্রতার প্রতীক হয়ে উঠছে। প্রশ্ন থেকে যায়—এই হিংসা, বিভাজন ও গ্রুপিংয়ের রাজনীতি থেকে কি কুমিল্লা মুক্তি পাবে? দেশবাসী কি পাবে একটি মানবিক, আদর্শভিত্তিক ও জনকল্যাণমুখী রাজনীতি? নাকি ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থেই বারবার বলি হবে গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক শালীনতা?
সময় এসেছে আত্মসমালোচনার। না হলে ইতিহাস বারবার ফিরে আসবে, আর ক্ষতিগ্রস্ত হবে দল, সমাজ ও দেশ।
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ সাইফুল ইসলাম ফয়সাল
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত