
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লা — কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় BNP মনোনীত কুমিল্লা‑৮ (বরুড়া) আসনের প্রার্থী জাকারিয়া তাহের সুমনের বিরুদ্ধে ৬৪৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকার বিশাল ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে মামলার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। অর্থসূচক, দুদকের উপ-পরিচালক আফরোজা হক খান এই মামলার জন্য অভিযোগপত্র তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন এবং শিগগিরই এ নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করার কথা জানানো হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, ন্যাশনাল ব্যাংক দিলকুশা শাখা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় “মানহা প্রিকাস্ট টেকনোলজি লিমিটেড” নামে একটি অস্তিত্বহীন বা কাগজের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয় এবং এর মাধ্যমে জাল কাগজপত্র দেখিয়ে ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ ছাড়া হয়। অর্থসূচক, দুদক বলেছে, ব্যাংকের ঋণ অনুমোদনের খবরে ঘটনাস্থলে কেউ প্রকৃত ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাচ্ছিল না; বরং জাল নথিপত্রের মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করা হয়েছে। তদন্তে বলা হয়েছে, ওই টাকা মূল ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার না করে অন্য প্রতিষ্ঠানের দায় মেটাতে এবং পে‑অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করে নেওয়া হয়েছে। অর্থসূচক, মামলায় জাকারিয়া তাহের সুমনের নাম থাকলেও বর্তমানে অভিযোগ দায়ের প্রক্রিয়ায় তার ভূমিকা সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মামলায় আরও মোট ৩১জনকে আসামি করা হয়েছে, যাতে রয়েছে ব্যাংকের সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এবং ব্যবসায়ীরাও। তাদের বিরুদ্ধে ব্যাংককে গুরুতর ক্ষতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
অর্থসূচক,আসামিদের তালিকায় উল্লেখযোগ্য যারা আছে:
ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এমডি এম এ ওয়াদুদ
সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল
সাবেক পরিচালক মনোয়ারা সিকদার ও তার পরিবার
এমপি আসলামুল হকের স্ত্রী মাকসুদা হক
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. মনসুর আলী ও সিইও সৈয়দ মাহতাব উদ্দিন মাহমুদসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিচালক। অর্থসূচক দুদক জানিয়েছে, মামলার সমস্ত আসামি জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছে এবং এটি ব্যাংকের গুরুতর ক্ষতির কারণ হয়েছে। তদন্ত এখনো চলমান এবং মামলাটিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে কমিশন জানিয়েছে।