কুমিল্লার খবর অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার লাখো মানুষের উপস্থিতিতে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে হাদির মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে তাকে শায়িত করা হবে। সেখানে তাকে দাফনের প্রস্তুতি চলছে। জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও এর আশপাশের এলাকায় মানুষের ঢল নামে। জানাজায়, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
নামাজে ইমামতি করেন হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।সকাল ১০টা থেকে হাদির জানাজায় অংশ নিতে মানুষজন ছোট ছোট মিছিল নিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জড়ো হন। জানাজা অনুষ্ঠানের সুবিধার্থে খেজুরবাগান ক্রসিং থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
পুরো এলাকায় পুলিশ, র্যাব, আনসার, এপিবিএন, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় হাদির মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় পৌঁছায়। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে তার মরদেহ রাখা হয়।সেখান থেকে আজ সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দীর মর্গে নেওয়া হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আনা হয়।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বক্স কালভার্ট এলাকায় রিকশায় করে যাওয়ার সময় ওসমান হাদির ওপর আক্রমণ হয়। মোটরসাইকেলে করে এসে দুজন তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এরপর তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা শেষে ওই রাতেই এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়।
সেখানেই বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরিফ হাদি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি,
আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।