স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা জেলার গুরুত্বপূর্ণ কোতোয়ালী থানা এলাকায় আবাসিক হোটেলের আড়ালে অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও মাদক বেচাকেনার অভিযোগ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্য্যে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ রয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, জাগুরঝুলি বিশ্বর মোড় থেকে আমতলী পর্যন্ত প্রায় সাতটি এবং শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আরও দুটি আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা ও মাদক সেবনের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলে আসছে।স্থানীয়রা জানান, এসব হোটেলের কাছাকাছি রয়েছে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট, হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে এলাকার ছেলেমেয়ে, পরিবার ও সামগ্রিক সামাজিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।এছাড়া সংশ্লিষ্ট কিছু সূত্রের দাবি—এসব হোটেল দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত আইনগত নজরদারির বাইরে থাকায় এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছে। যদিও এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার থাকাকালীন সময়ে কয়েকটি হোটেলের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনের ১১ ও ১২ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি। তখন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধও হয়ে যায়।সাম্প্রতিক সময়ে নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জনাব আনিসুজ্জামান। দায়িত্ব নেওয়ার পর সাংবাদিক-কর্মীদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে স্থানীয় দৈনিক রূপসী বাংলা পত্রিকার সাংবাদিক ঘটনাগুলো অবহিত করেন বলে জানা গেছে।কোতোয়ালী থানায় নতুন অফিসার ইনচার্জ যোগদান করলেও—স্থানীয় বাসিন্দা, শিক্ষক, অভিভাবক ও সাংবাদিকদের প্রত্যাশা—তিনি যেন অতীতের অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তাদের দাবি, অনৈতিক কার্যক্রম চললে সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা ও তরুণ প্রজন্মের মানসিকতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।স্থানীয় নাগরিক সমাজ এবং কুমিল্লার সাংবাদিকরা বলেন,“কুমিল্লা একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। কোতোয়ালী থানার মতো গুরুত্বপূর্ণ থানার আওতায় এ ধরনের কার্যক্রম চলা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। নতুন পুলিশ প্রশাসন এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই ও প্রমাণসাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণই হবে পুলিশের প্রধান অগ্রাধিকার।কুমিল্লার সাধারণ মানুষ এবং দায়িত্বশীল মহল আশা করছেন—এলাকার সামাজিক পরিবেশ রক্ষায় সকল অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করবেন নতুন পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জ।