বাহার রায়হান।।
ব্রিটিশ আমলের কুমিল্লা শহরে যখন মুসলমান ব্যবসায়ী ছিল খুবই কম, তখন কান্দিরপাড়ের হোটেল ব্যবসায়ী ইমান আলী ছিলেন এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। তিনি ছিলেন একজন সফল ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন উদ্যোক্তা।
ইমান আলী বেকার, শওকত-লিয়াকত হোটেলের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তিনি কুমিল্লার ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলে সম্মানজনক স্থান অধিকার করেছিলেন।কেবল সফল ব্যবসায়ীই নন, ইমান আলী ছিলেন প্রকৃত দানবীর। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ছিল কাপ্তান বাজারের বেপারী পুকুরের পূর্ব পাড়ে। তিনি এলাকায় একটি ফুরকানিয়া মাদ্রাসা ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যাতে দরিদ্র ও সাধারণ মানুষের সন্তানরা শিক্ষার সুযোগ পায়।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে তিনি অসংখ্য ক্ষুধার্ত মানুষকে আহার যোগান দিয়ে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর কোরবানি ঈদে দুইটি বড় গরু কোরবানি দিতেন। ঈদের পরের দিন একটি গরুর সমস্ত মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে পুরো গ্রামবাসীকে খাওয়াতেন— যা আজও কুমিল্লার মানুষের কাছে তাঁর দান ও মানবিকতার গল্প হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।