ইকবাল হোসেন সুমন, (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা-০৫ আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ব্যারিস্টার সোহরাব হোসেন চৌধুরী আবারও নতুন এক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মুখে পড়েছেন।স্থানীয় অনুসন্ধানে জানা গেছে, তার জনসম্পৃক্ততা ও বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তায় একটি প্রভাবশালী মহল অস্বস্তিতে পড়ে তাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।ব্যারিস্টার সোহরাব কখনোই আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সংগঠনের কোনো পদে ছিলেন না—না জেলা, না উপজেলা পর্যায়ে। রাজনীতি ও জনসেবার প্রতি তার আগ্রহ বহু দিনের, কিন্তু আওয়ামী আমলেই তিনি বারবার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। প্রয়াত আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরুর সময়েও তার প্রতি সেই ভয় ও দূরত্ব ছিল প্রকাশ্য।২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যখন ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়, তখন তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি হলত্যাগী ছাত্রদের নিজ বাসায় আশ্রয় দেন। মানবিক এই উদ্যোগটি পরে জাতীয় সংবাদমাধ্যমে আলোচিত হয়। একই বছর যুক্তরাষ্ট্রের টাইমস স্কয়ারে “Step Down Fascist Hasina” আন্দোলনেও তিনি সরাসরি অংশ নেন।এখন, যখন তিনি কুমিল্লা-০৫ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন, তখন আবারও সক্রিয় হয়েছে সেই একই চক্র। শেখ হাসিনার সঙ্গে তার রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের একটি ছবি ট্যাগ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যে তিনি আওয়ামী লীগপন্থী—যেন তার স্বতন্ত্র অবস্থান দুর্বল করা যায়।এমন বিভ্রান্তিকর প্রচারণা নতুন নয়। সারজিস আলম ও ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধেও একই কৌশল ব্যবহার করা হয়েছিল—সরকারি অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে তোলা ছবিকে বিকৃত করে রাজনৈতিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। সারজিস আলম তখন পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন, “ওটা ছিল রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণ, রাজনৈতিক নয়।” রাষ্ট্রীয় পরিসরে ভিন্নমতের নেতাদের এমন ছবি থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়।একইভাবে, ব্যারিস্টার সোহরাব চৌধুরীর সঙ্গে শেখ হাসিনার ছবিটিও রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণের অংশ ছিল, রাজনৈতিক সম্পর্কের নয়।বিষয়টি নিয়ে ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী বলেন,“স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নাগরিকের মৌলিক অধিকার—এই বিশ্বাস থেকেই আমি প্রচার শুরু করেছি। প্রচারপত্রেও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছি, চাইলে নিবন্ধিত কোনো দলের মনোনয়ন নিয়েও জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারি। শেষ পর্যন্ত হয়তো বিএনপির সমমনা কোনো দল, কিংবা বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা কোনো দলের ব্যানারেও তাকে দেখা যেতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।কিন্তু ট্যাগ লাগানো, ছবি বিকৃত করা বা ফেসবুকে গালাগালি দিয়ে কাউকে থামানো যায় না। সম্মান ও মর্যাদা দেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ তায়ালা।”