স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুকে লাথি মেরে ফেলে দিতাম বলে বলা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই মন্তব্যটি করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী। এমন তিন মিনিট পাঁচ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তার কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার সিদ্ধান্ত ছিল এমন । প্রথমে প্রতিবাদ করব। পরে দেখলাম যে সম্মেলনটা ভাঙার দায়িত্ব আমার উপরে আসবে । আমি ওইখানেই টিপুকে বন্ধ করে দিতাম নইলে লাথি মেরে ফেলে দিতাম। যা হবার হতো । যা ঘটতো তার দায় দায়িত্ব আমার উপরে আসতো । বহু কষ্টের ধৈর্য ধরে বসে ছিলাম। আমার মধ্যে ক্ষোভ প্রতিক্রিয়া এটাও কেউ দেখে না। আমার যারা ছিল তাদের মধ্যে কোনো রিএ্যাকশন দেখলাম না। যে এটা কি বললো? কেমনে বলল? এখানে কিভাবে কয় এই কথা। কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আপনাদেরও দেখি নাই আপনাদের কর্মীদেরকেও আমি দেখি নাই। কথা পরিষ্কার আমি আপনাদের উপর হতাশ। বিএনপি’র চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী আরো বলেন, দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে। এখন আওয়ামী লীগ নাই। আপনারা তো ক্ষমতায় চলেই গেছেন। কে কি খাবেন হিসাব করেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেছিলেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আওতায় ছয়টি আসন রয়েছে প্রতিটি আসনে কোন না কোন নেতা অভিভাবক হিসেবে কাজ করেছেন। আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই। গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের অত্যাচার নির্যাতন মামলা হামলায় যে সকল নেতা পাশে ছিল সেই সমস্ত নেতাদেরই মূল্যায়ন করা হবে। কুমিল্লা জেলার হেডকোয়ার্টার এই সদর আসন। এই সদর আসনের মাটি ও মানুষের নেতা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন এই সদরে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর এই বক্তব্যের কারণেই বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী তার নেতাকর্মীদের সম্মেলন পরবর্তী একটি সভায় এই মন্তব্যটি করেছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসব মোল্লা টিপু দৈনিক আমার দেশকে বলেন, উনি রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কথা বলেছেন। উনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা উনি । দলের একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। আমি কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক উনি আমাকে নিয়ে এভাবে বলতে পারেন না । বর্তমান প্রজন্ম বা আমরা উনাদের কাছ থেকে শিখব। আমরা উনাদের কাছ থেকে কি শিখতেছি? উনার অনেক বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। এত বছরে কি উনি এই শিখলেন। উনার সাথে এটা যায় না। তিনি আরো বলেন, উনার ৮০ বছরের মত বয়স হয়েছে। এ বয়সে মানুষ রিটায়ার্ড করে। রিটায়ার্ডের সময় মানুষ স্থির থাকে না। মানসিকতা এক এক সময় এরকম হয়। উনার এখন রিটায়ার্ডের সময়। এ সময় মানুষ একটু এরকম আবোল তাবোল বকে। কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু কে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরুল চৌধুরী দৈনিক আমার দেশ কে বলেন, আমি মেজাজি মানুষ সত্য, তবে এটাও সত্য আমি সংযত। এরকম কথা একজন রাজনৈতিক কর্মী সম্পর্কে যার সাথে আমি দল করি এটা পাবলিকলি বলার কোন প্রশ্নই ওঠে না। আমাদের একটা ঘরোয়া মিটিং ছিল । ওই মিটিংয়ে আমি কর্মীদের বলেছি টিপু যে ঐদিন সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছিল তোমরা প্রতিবাদ করলে না কেন? ঐদিন আমি প্রতিবাদ করি নাই। আমি প্রতিবাদ করলে সম্মেলনটা এফেক্ট হয়ে যেত। এর মধ্যেই এই শব্দটা কিভাবে ঢুকলো আই ডোন্ট নো। সবাই উপস্থিত কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেছি এমন কথা আমি বলেছি কিনা তারা বলতে পারছে না। রাগ আমার বেশি থাকতে পারে কিন্তু এই ভাষা প্রকাশ হবে কেন। সবাই ভদ্রলোক সবারই একটা পজিশন আছে।