নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশে বারবার স্বৈরাচারের আবির্ভাব হয়েছে। জনগণের আন্দোলনেই তারা বিতাড়িত হয়েছে। কিন্তু আগামী দিনে যদি বিএনপি ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ না থাকে, তাহলে আবারও গুপ্ত স্বৈরাচারের উদ্ভব হতে পারে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় টাউনহল মাঠে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।তারেক রহমান বলেন, গত ১৫–১৬ বছরে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী খুন, গুম, নির্যাতন ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তারপরও জনগণের সঙ্গে থেকে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন তারা। আজ স্বৈরাচার পতিত হয়েছে, কিন্তু সামনে রয়েছে দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব। এজন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে।তিনি বলেন, “সমাবেশে বক্তব্য দিলেই হবে না। দুই-একজনের টিম করে ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণকে জানাতে হবে বিএনপি কিভাবে দেশ গড়ে তুলবে, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবে।”তারেক রহমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আমাদের লক্ষ্য এখন একটাইঐক্য, জনগণ ও দেশ গঠন। জনগণই বিএনপির ক্ষমতার উৎস, তাই জনগণ যেভাবে চায় সেভাবেই কাজ করতে হবে।”সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “জান্নাতের টিকেট বিক্রি করা ধর্মব্যবসায়ীরা দেশে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে। চেতনার ব্যবসাও দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।”এর আগে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন মনিরুল হক চৌধুরী, হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াসিন, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, মো. আবুল কালাম ও মো. মোস্তাক মিয়া।সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ভিপি ওয়াসিম। দুপুর থেকেই ১৪১৪ জন কাউন্সিলরসহ হাজারো নেতাকর্মীর ঢল নামে টাউনহল মাঠে। সম্মেলন শেষে নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করা হয়।