মহিবুল্লাহ্ ভূঁইয়ার বরুড়া( কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার বরুড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের নয়নতলা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে জমি দখল বিরোধ নতুন করে তীব্র আকার ধারণ করেছে। জমি দখলের চেষ্টা ও হুমকির প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবার বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় উপজেলার নয়নতলা বটতলী বাজার এলাকায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রুহুল আমিনের ছেলে গোলাম আজম (৩২) জানান, নয়নতলার জিনসার মৌজার ১৮৯ নম্বর সিএস খতিয়ানের আওতাধীন ২ একর ২০.৫ শতক জমি তাঁদের পরিবার ওয়ারিশ সূত্রে ভোগদখল করে আসছে। তাঁর দাদা-দাদি জমিটি এক হিন্দু পরিবারের কাছ থেকে ক্রয় করেছিলেন, যারা পরে ভারতে চলে যান। এই জায়গাগুলো নিয়ে আমাদের তিনটি খতিয়ানের মধ্যে দুইটির মামলা নিষ্পত্তি হয়ে আমাদের পক্ষে রায় পেয়েছি। একটি মামলা এখনো চলমান। মামলা গুলো ছিলো সে হিন্দু পরিবারের সাথে। তৃতীয় পক্ষ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ভুয়া দলিল বানিয়ে জোরপূর্বক জায়গা দখল করে রেখেছে।তিনি অভিযোগ করে বলেন, একই এলাকার আনোয়ার (৫০), দেলোয়ার (৪৫), আবু তাহের (৩৮), মামুন (৩৫), বাবুল (৪৯) ও রফিক (৪৪) ওই জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছেন। বাধা দিলে তাঁর পরিবারকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। স্থানীয়ভাবে বৈঠক সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা চেষ্টা করলে বিবাদীরা কোনো সমাধানে সম্মতনয়।৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয়ভাবে বৈঠকে ডাকা হলেও তারা অনুপস্থিত থেকে বাদীপক্ষকে উল্টা হুমকি দেয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বরুড়া থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।অন্যদিকে বিবাদীপক্ষের একজন, দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, তিনি বৈধভাবে জমি ক্রয় করেছেন এবং বিষয়টি বর্তমানে হাইকোর্টে বিচারাধীন। তিনি বলেন, “আমার কাছে বৈধ কাগজপত্র রয়েছে এবং এর আগেও আদালতের রায় পেয়েছি। তবে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে চান নাএ বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম সর্দার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রথমে হিন্দু পরিবারের সঙ্গে একটি পক্ষের মামলা হয়, পরে তা আপিলে অন্যপক্ষের পক্ষে যায়। প্রায় ২০ বছর আগে পরিবারটি কলকাতায় চলে গেলে জমিটি নিয়ে নতুন বিরোধের সৃষ্টি হয়।বরুড়া থানার এসআই সাজেদুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে যাই। বিবাদীপক্ষ দাবি করে বিষয়টি হাইকোর্টে বিচারাধীন, তবে তারা কোনো মামলার কাগজপত্র দেখাতে রাজি হয়নি। স্থানীয় সমাধানে বসতেও তারা আগ্রহ দেখায়নি।এলাকাবাসীর মতে, জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের এই বিরোধকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আদালতের একাধিক রায় এবং সালিশ বৈঠক সত্ত্বেও এখনো কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি। ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের ন্যায় বিচার কামনা করছেন