এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার দেবীদ্বারে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১০০ শয্যার আধুনিক ‘জালাল উদ্দিন ফাউন্ডেশন মা, শিশু ও ডায়াবেটিক হাসপাতাল’কে ধাপে ধাপে মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সাবেক সচিব একে এম মহিউদ্দিন। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু করা উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রতিশ্রæতি দেন। হাসপাতালটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও জালাল উদ্দিন ফাউন্ডেশনের যৌথ অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে। যা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তৈরী কুমিল্লার একমাত্র সর্ববৃহৎ ও অত্যাধুনিক চিকিৎসা সামগ্রী দারা এক মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত। ২০১৭ সালের ১ জুলাই ভিত্তিপ্রর স্থাপনের পর প্রকল্পটির মেয়াদ তিন দফায় বাড়ানো হয়। দীর্ঘসূত্রিতা, ঠিকাদারি অনিয়ম ও করোনাকালীন প্রভাবের কারণে দেরি হলেও চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে হাসপাতালটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে ইতোমধ্যেই ক্রয়কৃত বহু যন্ত্রপাতি নষ্ট ও মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তবুও নতুন করে প্রয়োজনীয় আসবাব ও সরঞ্জাম কিনতে প্রায় কোটি টাকার বেশি ব্যয় হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদ নতুন করে কার্যক্রম শুরুতে অঙ্গীকারবদ্ধ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব একে এম খায়রুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. এম কে আহসান, এলজিইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম, কুমিল্লা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সারোয়ার আকবর, অধ্যাপক আলী ইমাম, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) মো. ফয়সাল উদ্দিন, জেলা সমাজ কল্যান অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক ফারজানা আমিন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বরুন কুমার দাস, মুরাদনগর সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. কবির আহমেদ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো. শাহজাহান মোল্লা, আলআমিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন ‘জালাল উদ্দিন ফাউন্ডেশনে’র ট্রাস্টিবোর্ডের সাধারন সম্পাদক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি একেএম সফিকুল আলম কামাল। মিলাদ ও দোয়া পড়ান দেবীদ্বার এসএ সরকারি কলেজ মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. ছিদ্দিকুর রহমান।
জালাল উদ্দিন ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি সাবেক অতিরিক্ত সচিব একে এম খায়রুল আলম জানান, আগামী ১ অক্টোবর থেকে হাসপাতালটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে। এখানে ডায়াবেটিক রোগীদের স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা এবং হতদরিদ্র রোগীদের জন্য ৩০ শতাংশ চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। তিনি আরো বলেন, সরকার প্রকল্পে ৮০ শতাংশ অর্থায়ন করেছে, তবে নিয়োগ ও বেতন ফাউন্ডেশনের আওতাধীন থাকবে।