
কুমিল্লায় ৫ লাখে মাদক কারবারি মুক্ত, চার পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
কুমিল্লার সীমান্তবর্তী বিবির বাজার গাজীপুর মাজার সংলগ্ন এলাকায় গত ২৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে দুইশত বোতল স্কাফ সিরাপ ও একশ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।তবে অভিযান শেষেই শুরু হয় রফাদফার নাটক। অভিযোগ উঠেছে, পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাহেবের নির্দেশে মো: আনোয়ার হোসেনসহ চার পুলিশ সদস্য—কনস্টেবল রানা আহমেদ, নয়ন চৌধুরী ও তাপস দে—কে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।স্থানীয়দের ভাষ্য, সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক কারবারিদের সঙ্গে পুলিশের আঁতাত নতুন কিছু নয়। অভিযানের নামে নাটক সাজিয়ে পরে অর্থের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয়। এবারের ঘটনায় পুলিশের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপে কিছুটা আশার সঞ্চার হলেও, জনমনে প্রশ্ন রয়ে গেছে-এই রফাদফার দায় কে নেবে? পুলিশের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি, মাদক কারবারিদের সঙ্গে গোপন আঁতাত এবং আইনের অপব্যবহার-এই তিনটি বিষয়ের ছায়া স্পষ্টভাবে পড়েছে এই ঘটনায়। কুমিল্লার সচেতন নাগরিকরা দ্রুত তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
Like this:
Like Loading...
Related