নিজস্ব প্রতিবেদক।।
সাংবাদিকতা পেশা নয়—এটি একটি আদর্শ, একটি দায়বদ্ধতা, একটি দেশপ্রেমের প্রকাশ। আর সেই পথেই এগিয়ে চলা একজন নিষ্ঠাবান, সাহসী ও সংগঠক সাংবাদিক মোঃ আনজার শাহ। গতকাল (৩১ জুলাই) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা (JSS)-এর ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন তিনি।ঢাকাস্থ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সাধারণ সভায় নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এতে সর্বসম্মতিক্রমে সংগঠনের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আলতাফ হোসেনের সহধর্মিণী মোছা: আছিয়া আক্তার, আর মহাসচিব নির্বাচিত হন আলমগীর গনি।কর্মনিষ্ঠার ধারায় নেতৃত্বে উত্তরণ,সাংবাদিক আনজার শাহ পেশাগত জীবন শুরু করেন স্থানীয় পর্যায়ে। তিনি পূর্বে বরুড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, পরে কুমিল্লা সাংগঠনিক বিভাগের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে প্রশংসিত ছিলেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা, নিরলস পরিশ্রম এবং সততার স্বীকৃতিতেই এবার জাতীয় পর্যায়ের নেতৃত্বে জায়গা করে নিলেন।দায়িত্ব গ্রহণের পর সাংবাদিক আনজার শাহ বলেন,এই দায়িত্ব আমার জন্য গর্বের, তবে এটি অনেক বড় দায়িত্বও বটে। আমি বিশ্বাস করি, দায়িত্ব আসে আল্লাহর পক্ষ থেকে। আমি যেনো আমার দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালন করতে পারি, এজন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি চাই, সাংবাদিকদের অধিকার, মর্যাদা এবং ন্যায়ের পক্ষে সবসময় দৃঢ়ভাবে থাকতে।”নেতৃত্বে ফিরলেন আছিয়া আক্তার,সভায় নতুন সভাপতি মোছা: আছিয়া আক্তার বলেন,আমার স্বামী মরহুম আলতাফ হোসেনের হাত ধরে এই সংগঠনের জন্ম। আজ যখন ভেতরে বিভ্রান্তি, শৃঙ্খলা-সংকট, নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব চলছে, তখন আমি বাধ্য হয়েই সংগঠনের হাল ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত কারো বিরুদ্ধে নয়—এটি সংগঠনের আদর্শ রক্ষার প্রয়াস মাত্র।”তিনি আরও বলেন,“একটি সংগঠনের প্রাণশক্তি তার সদস্যদের ঐক্য, শৃঙ্খলা ও নৈতিক নেতৃত্ব। আমি চাই সবাই একসাথে কাজ করি, মরহুম আলতাফ হোসেনের স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়নে।”নতুন কমিটি, নতুন প্রত্যয়,১০১ সদস্য বিশিষ্ট এই পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটিতে তরুণ ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। এতে করে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা নতুন গতিতে, নতুন চেতনায় এগিয়ে যাবে—এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সংগঠনের সদস্যরা।সাংবাদিক মোঃ আনজার শাহের মতো অগ্রগামী, সৎ ও আদর্শবান নেতৃত্বের সংযোজন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ভবিষ্যৎ পথচলাকে আরও সুদৃঢ় করবে—এমনটাই বিশ্বাস করেন অনেকেই। একদিকে যেমন তাঁর অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা, অন্যদিকে নতুন নেতৃত্বের অধীনে সংগঠনটির পুনর্জাগরণ—এই যুগল সমন্বয় সাংবাদিক সমাজের অধিকার, মর্যাদা ও ঐক্যের প্রতীকে রূপ নিতে পারে।