পুলিশ ধরবে না আশ্বাস দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সমন্বয়কের বিরুদ্ধে!
কুমিল্লার খবর অনলাইন ডেস্ক।।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে পুলিশ ধরবে না এমন আশ্বাস দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া ওবায়দুল হক নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও ফেসবুক ছড়িয়ে পড়েছে।শনিবার (৮ মার্চ) এই ভিড়িওটি ভাইরাল হয়। এ ছাড়া জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর ভুক্তভোগী শফিউল আলম বাসায় এই ভিডিও ধারণ করা হয়। ওবায়দুল হক উপজেলার সখল্যা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শওকত আলীর ছেলে। ৪ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সোফায় পাঞ্জাবি-টুপি পরে বসে আছে যুবক ওবায়দুল হক। শওকত আলীর উদ্দেশে শফিউল আলমকে বলতে শোনা যায়, ‘পাঁচ হাজার টাকা দিলে ওবায়দুল বলছে, ওসি সাহেব আমারে ধরত না। হে ওসি সাহেবের লগে কথা কইছে। ভাইটকান্দি ইউনিয়নের আনোয়ার দারোগাও ধরত না।’ভিড়িওতে টাকা নেওয়ার পর যে পুলিশ আসবে না, বিষয়টি বুঝে টাকা নেওয়ার জন্য বলা হয় ওবায়দুলকে। এসময় ওবায়দুলকে বলতে শোনা যায়, ‘ইউনূস সরকার যত দিন আছে, আর আমি যত দিন বেঁচে আছি, এইডা আমি গ্যারান্টি দিলাম। আমি যদি তার (শফিউল) বিপক্ষেই থাকতাম, তাহলে ফোন দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। সামনে ১০ রোজার পরে ওসি সাহেবকে দাওয়াত দিছি।’তখন বারবার শফিউলের মাকে বলতে শোনা যায়, ‘পরে কোনো সমস্যা হইত না তো?’ তখন ওবায়দুল বলতে থাকেন, ‘আমি তো আছি, এক কথা কতবার বলতাম।’এরপর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শওকত আলী এক হাজার টাকার পাঁচটি নোট এনে ওবায়দুলের হাতে তুলে দেন।কোনো পুলিশ শফিউল আলমকে গ্রেপ্তার করবে না এমন আশ্বাস দিয়ে এসময় ৫ হাজার টাকা নেয় ওবায়দুল। এদিকে সমন্বয় পরিচয়ে টাকা নেওয়ার ঘটনা জানাজানি হওয়ায় এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে শফিউল আলমের বাবা শওকত আলী বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী ওবায়দুল নিজেকে এলাকার সমন্বয়ক পরিচয় দেয়। আমি শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজ পড়ে ঘরে এসে বসতেই ওবায়দুল আসে। সে বলতে থাকে, আমার ছেলেকে পুলিশ ধরবে না, ইউনূস সরকারের আমলে কোনো মামলা হবে না। গ্রেপ্তার থেকে আমার ছেলেকে রক্ষা করবেন। এসব বলে পাঁচ হাজার টাকা নেন ওবায়দুল। এটি ভিডিও করে রেখে দিয়েছি।’বক্তব্য জানতে ওবায়দুল হকের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহের সদস্যসচিব আলী হোসেন বলেন, ‘এখন আর কেউ সমন্বয়ক পরিচয় দিতে পারবে না। এ ছাড়া ওই যুবক (ওবায়দুল) আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাদি বলেন, ‘পুলিশের কথা বলে টাকা নেওয়া যুবককে শনাক্ত করেছি। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
@কামরুজ্জামান মিন্টু/সুমন/
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম ফয়সাল
মোবাইলঃ +৮৮০১৭৭৫৭২৬৬৭৯/+৮৮০১৭৬৫৭৭৮৪৪৬
ই-মেইলঃ cumillarkhobor33@gmail.com