নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা ভূমি অফিসের কানগো কাজী মাহমুদের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ।

নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা ভূমি অফিসের কানগো কাজী মাহমুদের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ।

প্রকাশিত: ৬:৫৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা ভূমি অফিসের কানগো কাজী মাহমুদের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ।

স্টাফ রিপোর্টার।।
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ফতুল্লা উপজেলার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কানগো কাজী মাহমুদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি ও একাধিক ঘুষ বাণিজ্যর অভিযোগ উঠেছে। ইউনিयন ভূমি অফিসটি টি মৌজা নিয়ে গঠিত এ ভূমি অফিসের অন্তর্গত সকল সম্পত্তি উচ্চমাত্রার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কানগো সাহেব ও তার সহযোগী চক্ররা মিলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির রাম রাজত্ব চালাচ্ছে ইউনিয়ন ভূমি অফিসটিতে। তাছাড়া এই ইউনিয়নের টি মৌজার ভিতর টি মৌজা অনলাইনে খাজনা কার্যক্রম চালু হয়েছে বাকি মৌজা এখনো পর্যন্ত অনলাইনের আওতায় আসে নাই।আর এই সুযোগটাই সে কাজে লাগিয়ে একাধিক দালাল চক্রের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ।একাধিক সুত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন ভূমি কানগো কাজী মাহমুদ অফিসটিকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য করে গড়ে তুলেছেন। এখানে উল্লেখ্য তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা পঞ্চবটি লোক বলে ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে ভুক্তভোগী ও নিরীহ লোক মুখ খুলতে পারছে না,। খাস সম্পত্তি আদালতের রায় পাওয়ার পরেও মোটা অংকের অর্থ দাবি করে না পাওয়ায় মিউটেশনের তদন্ত রিপোর্ট আটকে রাখা সহ বিলান সম্পত্তি ভাঙ্গা দেখিয়ে ৪০০ টাকার খাজনা ৬০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছেন এই কানগো। মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ আছে। কানগো দাবিকৃত অর্থ কেউ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের সম্পতি পূর্বের অনেকদিনের খাজনা বাকি আছে সম্পত্তি খাস খতিয়ানে ছিল এ ধরনের বিভিন্ন তালবাহানা করে ঘুরাতে থাকে। গোপন সংবাদ ভিত্তিতে জানা যায় তার বিরুদ্ধে যে আচরণ করে ভুক্তভোগীর সাথে তা বলা বাহুল্য, কথায় কথায় বিভিন্ন দাপট দেখায়, এমন কি সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তার কাছে জিম্মি বলে মনে হয়, একাধিক হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা টাকার অভাবে খাজনা দিতে না, তার অবৈধ অর্থ লেনদেনের চাওয়ার কারণে, দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অফিসের মধ্যে নগদ অর্থের ছড়াছড়ি।
এই কানগো দালাল চক্র নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
কানণো সাহেবের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় অত্র ভূমি অফিসটিতে মিউটেশন মামলার রিপোর্ট পেন্ডিং অবস্থায় আছে। তিনি বলেন অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে এগুলো দিতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এই নায়েব সাহেব দালাল চক্রের মাধ্যমে কন্ট্রাকে নামজারী করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। গোপন সূত্রে জান যায় এসকল ঘুস বাণিজ্য তিনি সুকৌশলে তার অফিস সহায়ক বাবু মাধ্যমিক করে থাকে।
কেউ ঘুস না দিয়ে নামজারীর রিপোর্ট করাতে পারেনা সেবা গ্রহীতাদের তাই বাধ্য হয়ে ঘুস দিয়ে নামজারীর রিপোর্ট করাতে হয় এ ধরনের অভিযোগ আছে একাধিক ভুক্তভোগীর।এ ভূমি অফিসে সেবা গ্রহীতাদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে ,এ সময় বেশ কজন সেবা গ্রহীতার সাথে কথা বলে জানা যায়, —— ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারীর রিপোর্ট প্রস্তুতের জন্য সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে ০৮ (আট) হাজার থেকে ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন কানগো কাজী মাহমুদ,সহকারি বাবু, বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে নগদ অর্থ নেওয়ার সময় এ প্রতিবেদক ছবি তোলে যার জন্য ওই প্রতিবেদকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ ও মামলায় ফাঁসানোর হুমকি প্রদান করেন। সুকৌশলে এই অবৈধ কর্মকান্ড চালাচ্ছে এই কানগো কাজী মাহমুদ। এদিকে খাজনা না দিতে পারায় হতদরিদ্র, অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষ এখন নাজেহাল হয়ে পড়েছে। এই এলাকার অসহায় মানুষগুলো সরকারি বিনামূল্যে সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। , আমাদের এই সোনার বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা গুলোতে নিয়োজিত সরকারি উদ্বতন কর্মকর্তারা যতদিন পর্যন্ত তাদের অফিসারদের অপরাধ গুলোকে বিশেষ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পরিচালনা না করবেন ততদিন দেশের জনগণ অনিয়ম ও দুর্নীতির বেড়াজাল থেকে পরিপূর্ণ মুক্তি পাবে না।