ধীরস্থিরতার সঙ্গে রুকু-সিজদা করা আবশ্যক

ধীরস্থিরতার সঙ্গে রুকু-সিজদা করা আবশ্যক

প্রকাশিত: ৭:২৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২৪

ধীরস্থিরতার সঙ্গে রুকু-সিজদা করা আবশ্যক

কুমিল্লা খবর ডেস্ক।।

নামাজে ধীরস্থিরতা অবলম্বন করা আবশ্যক। নামাজের প্রতিটি রুকুন অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে আদায় করতে হবে। এক সাহাবিকে নামাজ শিক্ষা দিতে গিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কারও নামাজ ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ হবে না, যতক্ষণ না সে তেমনভাবে অজু করবে, যেমনভাবে অজু করার নির্দেশ আল্লাহতায়ালা দিয়েছেন। এরপর তাকবির বলবে এবং আল্লাহতায়ালার প্রশংসা করবে অর্থাৎ সানা পাঠ করবে। এরপর আল্লাহ তাকে যে তাওফিক দিয়েছেন, সে অনুযায়ী পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করবে। এরপর তাকবির বলে রুকু করবে। রুকুতে উভয় হাতের তালু হাঁটুর ওপর ততক্ষণ রাখবে, যতক্ষণ না তার সব জোড়া স্থির হয়। এরপর সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা বলে সোজা হয়ে দাঁড়াবে এবং মেরুদণ্ড সোজা করবে। যাতে সব হাঁড় স্ব স্ব স্থানে ফিরে আসে। এরপর তাকবির দিয়ে সিজদায় যাবে এবং চেহারা ভালোভাবে জমিনে ততক্ষণ রাখবে করবে, যতক্ষণ না তার জোড়াসমূহ স্থির হয়। এরপর তাকবির দিয়ে সোজা হয়ে বসবে এবং মেরুদণ্ড খাড়া করবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৮৫৮) জামাত শুরু হলে অনেকে দৌড়ে গিয়ে শরিক হন। বা ইমাম রুকুতে চলে গেল, খুব জোরে দৌড়ে রুকুতে শরিক হওয়ার চেষ্টা করেন। এমনটি উচিত নয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন নামাজ শুরু হয়, তখন দৌড়ে গিয়ে নামাজে যোগদান করবে না; বরং হেঁটে গিয়ে নামাজে যোগদান করবে। নামাজে ধীরস্থিরভাবে যাওয়া তোমাদের জন্য অপরিহার্য। কাজেই জামাতের সঙ্গে নামাজ যতটুকু পাবে আদায় করবে, আর যা ছুটে যায় পরে তা পূর্ণ করে নেবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৯০৮)