দেবীদ্বারে ফার্মেসী পাড়ায় অভিযানঃ ফার্মেসী বন্ধ করে পালাল ফার্মেসী মালিক সমিতির সভাপতি- কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাথিক ফার্মেসী মালিক

দেবীদ্বারে ফার্মেসী পাড়ায় অভিযানঃ ফার্মেসী বন্ধ করে পালাল ফার্মেসী মালিক সমিতির সভাপতি- কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাথিক ফার্মেসী মালিক

প্রকাশিত: ২:৪৮ পূর্বাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৫

দেবীদ্বারে ফার্মেসী পাড়ায় অভিযানঃ
ফার্মেসী বন্ধ করে পালাল ফার্মেসী মালিক সমিতির সভাপতি- কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাথিক ফার্মেসী মালিক

এবিএম আতিকুর রহমান বাশার,দেবীদ্বার (কুমিল্লা)প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার দেবীদ্বারে ফার্মেসী পাড়ায় অভিযানে নামেন ভ্রাম্যমান আদালত। এ সংবাদে মুহুর্তের মধ্যে ফার্মেসী বন্ধ করে পালালেন ফার্মেসী মালিক সমিতির সভাপতি, কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাধিক ফার্মেসী মালিক।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) মো. রায়হানুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান চলে। এ সময় কুমিল্লা জেলা ড্রাগ সুপার মো. শাহ জালাল ভ‚ঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে ফার্মেসী খোলা না পাওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত হতাশ হয়ে পড়েন। এসময় নিউমার্কেট উত্তর বাজারে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর বিক্রয় নিষিদ্ধ শ্যাম্পল সুকেসে সাঝিয়ে রাখার অপরাধে উপমা ফার্মেসীকে ১০ হাজার টাকা এবং শ্যাম্পল ও ড্রাগ লাইসেন্স না থাকায় ‘মীর মেডিকেল হল’কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ড দেয়া হয়। জরিমানা পরিশোধ করে কারাদনন্ড থেকে রেহাই নেন। ঔষধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩’র ৪০ ধারায় এ জরিমানা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, মোবাইল কোর্ট আসার সংবাদে ফার্মেসী পাড়ায় সাটার বন্ধের আওয়াজটি ছিল মিউজিকের মতো, প্রায় ৩/৪ মিনিটের মধ্যে ধুপাধুপ প্রায় অর্ধশতাধিক ফার্মেসী বন্ধ করে দোকান মালিকরা সাধরন জনতার মাঝে সাধু সেজে ঘুরা ঘুরি করতে দেখা যায়। মোবাইল কোর্ট চলে যাওয়ার পর আবারো পূর্বের অবস্থায় দোকাণ খুলে বসেন সাধু ব্যবসায়িরা।
দেবীদ্বার ফার্মেসী মালিক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল খালেক সরকার (বাবুল) জানান, পৌর এলাকায় ড্রাগ লাইসেন্সধারী ফার্মেসী রয়েছে প্রায় ৬০/ ৭০টি, লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসী আছে ৪০/৫০টি হবে। সকল ফার্মেসীর শতভাগে মেয়াদ উত্তির্ণ ঔষধ ও শ্যাম্পল থাকে। ফার্মেসী মালিক সমিতির সভাপতি হয়ে আপনি ফার্মেসী বন্ধ করে পালালেন কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, অভিযান চলাকালে যে কোন ফার্মেসী জরিমানা গুনতে হবে। তাই আমার ফার্মেসী বন্ধ করতে হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) মো. রায়হানুল ইসলাম জানান, মূলতঃ ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযানটি ছিল,- মেয়াদ উত্তির্ণ ঔষধ, বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর শ্যাম্পল যা বিক্রয় নিষিদ্ধ, সরকার কর্তৃক আমদানী অনুমোদনবিহীন ঔষধ, ভুয়া কোম্পানীর ভেজাল ঔষধ, সাধারন গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য আদায় এবং ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসীসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতি প্রতিরোধ। কিন্তু ফার্মেসীর মালিক থেকে শুরু করে গ্রাহক পর্যায়ের ভোক্তভ‚গীরাও সহযোগীতা করেনা। সময় স্বল্পতার কারনে অভিযান মুলতবী করলেও, আগামীতে অভিযান চলমান থাকবে। অভিযান চলাকালে কোন ফার্মেসী বিনা কারনে বন্ধ রাখলে সেই ফার্মেসীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।