দুবাই প্রবাসী তানভির আখন্দ রাফি থাইল্যান্ড থেকে নিখোঁজে মা বাবার আহাজারি থামছেনা

দুবাই প্রবাসী তানভির আখন্দ রাফি থাইল্যান্ড থেকে নিখোঁজে মা বাবার আহাজারি থামছেনা

প্রকাশিত: ২:৩২ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০২৪

দুবাই প্রবাসী তানভির আখন্দ রাফি থাইল্যান্ড থেকে নিখোঁজে মা বাবার আহাজারি থামছেনা

স্টাফ রিপোর্টার।।

কুমিল্লার ছেলে দুবাই প্রবাসী তানভির আখন্দ রাফি (২২) যুবক, বাংলাদেশী পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে দুবাই থেকে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে থাইল্যান্ডে ভ্রমনে গিয়ে সাইবার সন্ত্রাসীর হাতে জিম্মি হয়ে মিয়ানমারের বর্ডারের নির্জন জঙ্গলে সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে মুমূর্ষু অবস্থায় আছে বলে জিম্মি কৃত পাচজনের মধ্যে একজন জুনায়েদ পালিয়ে এসে জানান। নিখোজের পর থেকে ১ মাস ৮ দিন হলো নেই কোন খোজ খবর,এদিকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ষাইটশালা গ্রামের আখন্দ বাড়িতে রাফির বাবা রেহান উদ্দিন আখন্দ ও মাতা ইয়াছমিন আক্তারের এক মাত্র পুত্র সন্তান জিম্মি হওয়ায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছেন পরিবার। কখনও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কখনো প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনশক্তি কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে আবার নিরুপায় হয়ে কখনো সাংবাদিকদের ধারে,ধারে ,কখনো প্রধান উপদেষ্টার অফিসে দৌড়াচ্ছেন।কোন প্রতিকার বা খোজ পায়নি আজো। গত ৯ই ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে তানভীর আখন্দ রাফির গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তানভীর আখন্দ রাফির স্বজন ও তার বাবা রেহান উদ্দিন আখন্দ ও তার কাকা নিজাম উদ্দিন আখন্দ (ওমান প্রবাসী) এবং তানভীরের মাতা ইয়াছমিন আক্তারের সাথে কথা বলে জানাযায় রাফি দুবাই থাকতো একটি প্রকল্পে চাকরি করতো,গ্রীষ্ম কালীন ছুটিতে বাংলাদেশী পাঁচ বন্ধু মিলে থাইল্যান্ড ভ্রমনের জন্য বাংলাদেশী বন্ধু রোমান, বুদ্ধি দেয় ।ঐখানে তাদের প্রজেক্ট আছে থাইল্যান্ডে, রোমানের কথামতো পাচবন্ধু মিলে প্রজেক্টে যেতে চায়,অসৎ রোমান প্রজেক্টে না নিয়ে মিয়ানমারের সাইবার সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেয়। ওই সময় রোমান এবং ইফতেখারুল আলম রনি দুইজনে মোবাইল যোগাযোগ করে মিয়ানমারের সন্ত্রাসীদের সাথে । তারপর রাফিসহ ছয়জনকে তুলে দেয় টাকার বিনিময়ে ।এরপরে বাংলাদেশী পাচারকারী দুবাই প্রবাসী ফেনীর রোমান,ও ইফতেখারুল রনি, তাদের মোবাইল , নাম্বারটা বন্ধ করে দেয় ।থাইল্যান্ড চাকরির ব্যাবস্থা করে দিবে মোটা অংকের বেতন পাবে লোভ দেখিয়ে পরামর্শ দেয়। সবাই মিথ্যা চাকরি না দিয়ে দুবাই বসবাসরত পাচারকারী কাউছারের দু বন্ধুর বাড়ি ফেনী জেলায় একজনের নাম ইফতেখারুল আলম রনি, অন্য জন রোমান মিয়া, থাইল্যান্ডে প্রজেক্ট আছে তাদের আসলে কোন প্রজেক্ট নাই ।তাদের উদ্দেশ্যে ছিল পাচার করে দেওয়া মিয়ানমারে সাইবার সন্ত্রাসীদের কাছে ।রাফি কাউছারের কথা মতো তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তখন মোবাইল নাম্বারটা বন্ধ দেখায় । আর যোগাযোগ করা যায় না। এভাবে ইফতেখারুল আলম রনি আর রোমান অসৎ উদ্দেশ্য মিয়ানমারের সাইবার সন্ত্রাসীদলের কাছে তুলে দেন, এবং বিক্রী করে দেন। সাইবার সন্ত্রাসী দল রাফি সহ তার সহযোগী ছয় বন্ধুকে চাকরি দিবে এবং বেতন দিবে বলে অঙ্গীকার নামাতে সাক্ষর নিতে আসে এতে রাফিসহ বন্ধুরা বুঝতে পারে বেতন ছাড়া চাকরি! সাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানালে শুরু হয় মাইর,কারেন্টের শট,আর অমানবিক নির্যাতন।এসময় জৈনিক পাকিস্তানী নাগরিককে একই কায়দায় ফেলে নির্যাতন করলে অজ্ঞান হয়ে যায়, পরে বুজতে পারে সন্ত্রাসীরা লোকটি মারাগেছে,তখন সাইবার সন্ত্রাসীর সদস্যদের সাথে রাফির বন্ধু জুনায়েদকে দিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়।ঐসময় কৌশলে জুনায়েদ পালিয়ে নদী সাতরিয়ে মিয়ানমারের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে,ওখানে এনজিওর কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে পাঠায়,তার বাড়ি নরসিংদী তে। এই ভাবে বর্ননা দিতে গিয়ে রেহান উদ্দিন আখন্দ ও মাতা ইয়াসমিন আক্তার কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরবর্তী তে বলে এবাবে আর কোন মায়ের সন্তান যেন থাইল্যান্ড না যায়, ছেলে কে ফিরিয়ে পেতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।এবং ছেলে কে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দাওয়ার আহবান করেন। উদ্ধার কৃত জুনায়েদ বলেন বাংলাদেশের মোট ১৭ জন জিম্মি আছে। আমার নাম মোঃ জুনায়েদ হোসেন পারভেজ ।
মোঃ রেহান উদ্দিন আখন্দ এর ছেলে ,তানভীর আখন্দ উরফে রাফি,বাড়ি কুমিল্লা, কায়সার হামিদ বাড়ি চট্টগ্রাম, মোঃ তোহানুর খলিলুল্লাহ হেলাল,বাড়ি মুরাদনগর, কুমিল্লা
,সাইমন হোসেন আবির চট্টগ্রাম মোট ১২ জন এরমধ্যে আমি একমাত্র দেশে এসেছি বাকিরা জিম্মি আছে। এদের পাচারকারী দুইজন দুবাই প্রবাসী দুইজনের বাড়ি ফেনী
১, নোমান
২, ইফতেখারুল আলম (রনি) ।