দুই মাসেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কুমিল্লাবাসীরা

দুই মাসেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কুমিল্লাবাসীরা

প্রকাশিত: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০২৪
দুই মাসেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কুমিল্লাবাসীরা।
নিজস্ব সংবাদদাতা ।।

এ বছর বন্যায় কুমিল্লার ১৪টি উপজেলায় প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুরবস্থা বসত ঘরের। ছবি: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন।কুমিল্লায় বন্যার দুই মাস পরেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে। ত্রাণের অভাবে অনেকেই নতুন ঘর নির্মাণ কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামত করতে পারছেন না। বেসরকারি উদ্যোগেই বেশিরভাগ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজ চললেও তা পর্যাপ্ত নয়, বলছেন দুর্গতরা। সরকারিভাবে যে সহযোগিতা পাওয়া গেছে তা একেবারেই নগণ্য বলে জানান জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা। গত ২২ আগস্ট গোমতী নদীর ভাঙনে ঘর-বাড়ি হারিয়েছেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আলেয়া বেগম। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন্যার সময় তাঁর ঠাঁই হয় আশ্রয়কেন্দ্রে। গবাদি পশু যা ছিল সবই বন্যায় মারা গেছে। এখন সরকারের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা নেই। বন্যার পর ত্রাণের অভাবে নতুর ঘর তৈরি করতে না পারায় থাকতে হচ্ছে ঝুপড়ি ঘরেই। এ বছর বন্যায় কুমিল্লায় ৮২ হাজারের বেশি বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু বুড়িচংয়ে ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব অন্তত আট হাজার পরিবার। সেনাবাহিনী, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি উদ্যোগে সহায়তা দেওয়া হলেও পর্যাপ্ত নয়। বন্যাদুর্গতরা বলছেন, বন্যার পর প্রায় দুই মাস চলে গেছে। এখনও জেলা প্রশাসন থেকে কোনো কিছুই পাননি তারা। বেসরকারিভাবে কিছু আর্থিক সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রী ছাড়া সরকারি কোনো সহযোগিতা তারা পাননি।সরকারিভাবে ১ লাখ ৯১ হাজার বান্ডেল টিনের চাহিদা থাকলেও মিলেছে মাত্র চার শ বান্ডেল। কুমিল্লা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আবেদ আলী বলেন, ‘বন্যার্তদের বন্যা পরবর্তী সময়ে সহায়তায় বিভিন্ন নন গভর্নমেন্ট অরগানাইজেশন (এনজিও) ও দাতা সংস্থাগুলো কাজ করছে। এ ছাড়া আমরা ঘর-বাড়ি পুনর্নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করব।’

এ বছর বন্যায় কুমিল্লার ১৪টি উপজেলায় প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুরবস্থা বসত ঘরের।