তালগাছের গ্রাম কুমিল্লার জয়মঙ্গলপুর খিলের বাড়ি

তালগাছের গ্রাম কুমিল্লার জয়মঙ্গলপুর খিলের বাড়ি ‎

প্রকাশিত: ২:৩৯ পূর্বাহ্ণ, মে ১৫, ২০২৫

তালগাছের গ্রাম কুমিল্লার জয়মঙ্গলপুর খিলের বাড়ি

‎কুমিল্লা সদর দক্ষিণ প্রতিনিধি।।
‎গ্রাম-বাংলার অতি চিরচেনা ফল তাল। আকাশের দিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি তালগাছ। ছবির মতো সুন্দর সারি সারি তালগাছের এ রকম দেখা মেলে কুমিল্লার সদর দক্ষিণের পিপুলিয়া বাজারসংলগ্ন জয়মঙ্গলপুর খিলের বাড়ি সড়কের দুই পাশে। মাথা উঁচু করে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছ জানান দিচ্ছে, এ গ্রাম যেন প্রকৃতপক্ষেই তালগাছেরই একটি গ্রাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা জয়মঙ্গলপুর খিলের বাড়িকে তালগাছের গ্রাম বললে ভুল হবে না। গ্রামে ঢুকলেই যে কারো মনে হবে, এটি আসলেই তালগাছের গ্রাম। যতদূর চোখ যাবে সড়কের দুপাশে শুধু সারি সারি তালগাছ। ছোট-বড় তালগাছে ঘেরা মনোমুগ্ধকর পরিবেশ যে কাউকে আকৃষ্ট করে।
‎তালগাছের দৃশ্য উপভোগ করতে ও মোবাইল ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। তালগাছের দৃষ্টিনন্দন এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শেয়ার করেন। সড়কের দুই পাশে অগণিত তালগাছ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে, যা দেখতে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
‎কুমিল্লা সদর দক্ষিণের আলমপুর গ্রামের বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম এসেছেন তালগাছের সারির সৌন্দর্য উপভোগ করতে। তিনি বলেন, সড়কের দুই পাশে অগণিত তালগাছ জয়মঙ্গলপুর খিলের বাড়ি গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে, পাশেই আমার আন্টির বাড়ি। যখনই বেড়াতে আসি সারি সারি তালগাছ ও প্রকৃতির সান্নিধ্যে একটু সময় ব্যয় করি। ভালোই লাগে এ গ্রামটি। ফলে বার বার এখানে ছুটে আসা। স্থানীয় বাসিন্দা নুরু মিয়া বলেন, বর্তমানে অনেক জায়গায় বজ্রপাতে মানুষ মারা যাচ্ছে; কিন্তু আমাদের গ্রামে আল্লাহর রহমতে উঁচু উঁচু তালগাছের থাকায় বজ্রপাতে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন তালের শাঁস খেতে আমাদের গ্রামে আসে। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোনায়েদ কবির খান বলেন, সাধারণত উঁচু স্থানে বজ্রপাত আঘাত করে। তালগাছ অন্যান্য গাছের তুলনায় বেশ উঁচু আকৃতির হওয়ায় বজ্রপাতকে আকৃষ্ট করে। তালগাছ মানুষ বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই বিভিন্ন সময় কৃষি অফিস খালের পাড় ও জমিনের আইলে তালের চারা রোপণ করে থাকে।