কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক;আড়াই কোটি টাকার সড়ক সংস্কার শেষ না হতেই সলিং উল্টে গে

কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক;আড়াই কোটি টাকার সড়ক সংস্কার শেষ না হতেই সলিং উল্টে গেল

প্রকাশিত: ১০:৪৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২৫

অপরিকল্পিত প্রকল্প ব্যস্তবায়নে আড়াই কোটি টাকার সড়ক সংস্কার কাজে লাভ হয়নি জনগণের;অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সড়ক সংস্কার চলমান থাকা অবস্থায় অকেজো হয়ে গেছে কাজ

এবিএম আতিকুর রহমান বাশার।।
মরণ ফাঁদ খ্যাত কুমিল্লা- সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবীদ্বার অংশের প্রায় এক হাজার মিটার সড়ক আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবীদ্বার সদর এলাকায় ভূইয়া কনষ্ট্রাশন’ কর্তৃক ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ‘সড়ক ও জনপদ বিভাগের ‘রোড ডিভাইডার’ ও ইাটের সলিং দিয়ে দু’পাশে ৩ ফুট করে ‘সড়ক প্রশস্তকরণে সংস্কার কাজ শেষ না হতেই বিভিন্ন অংশের সলিং উঠে গেছে। দেবে গেছে সড়কের অধিকাংশ জায়গা। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কটি খানাখন্দে জনদূর্ভোগে পরিনত হচ্ছে, সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় গর্ত তৈরী হয়ে সড়কটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় পরিনত হয়ে আছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামন্য বৃষ্টিতে সড়ক ডুবে যায়। যান ও মাল পরিবহনগুলো ডুবন্ত সড়কের গর্তে আটকা পড়ে দূর্ঘটনায় কবলিতই নয়, দীর্ঘ যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে। যানবাহনের চাকার বারিতে ছিটকে পড়া সড়কের কাদাযুক্ত পানি পথচারীদের পোষাক নষ্ট হচ্ছে। সোমবার (১৩ জুলাই) বিকেলে নির্মানাধীন সড়কের অংশ ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। সড়কের এ নাকাল অস্থায় দূরপাল্লার যান ও মাল পরিবহনগুলো দু’পাশে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়তে হয়। কখনো কখনো অটো ও সিএনজি কাত হয়ে যাত্রীদের কাঁদায় ছিটকে পড়তে দেখা যায়। মহাসড়কের দেবীদ্বার পৌর এলাকার বানিয়াপাড়া, বারেরা ফুলগাছতলা, আজগর আলী মূন্সী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শাহজালার ইসলামী ব্যাংক লিঃ, এনআরবি ব্যাংক এর সামনে অংশে এ খানাখন্দ কাজ চলমান অবস্থাতেই দেখা যায়। ট্রাক চালক নায়েব আলী জানান, সড়কের এমন সমস্যায় আজ নতুন নয়। বছরের পর বছর সমস্যা মোকাবেলা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়ত করতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে সওজের লোকজন ইট-সুরকী ফেলে খানা খন্দ ও গর্ত পুরন করলেও তা সাময়িক। পানি সড়কের নিস্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায়, সামান্য বৃষ্টিতে সড়ক দেবে গিয়ে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের সামনের সওজের জায়গায় ইট, বালু, রডসহ নির্মান সামগ্রী, ট্রাক্টর, জেনারেটরসহ বিভিন্ন সামগ্রী রেখে বেদখল থাকায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। উপরন্ত সড়কটি সরু হওয়ায়র কারনে সাধারণ পথচারিদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
সিএনজি চালক আমির হোসেন জানান, সড়কের ছোট বড় গর্ত ও খানা খন্দের অংশ পার হতে যেয়ে আমাদের শ্বাস রোধ হয়ে পড়ে। হেলে দুলে কখন যে দূর্ঘটনায় পড়ে যাই। বৃষ্টি বেশী হলে গর্তগুলো দেখা যায় না, অনেক সময় গর্তে পড়ে দূর্ভোগে পড়তে হয়।
সোমবার (১৩ জুলাই) বিকেলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম ভূইয়া জানান, সড়কের সমস্যা নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, ভূইয়া কনষ্ট্রাশন’ কর্তৃক ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ‘সড়ক ও জনপদ বিভাগের ‘রোড ডিভাইডার’ ও ইাটের সলিং দিয়ে দু’পাশে ৩ ফুট করে ‘সড়ক প্রশস্ত করা চলমান। সড়কে ভারি যানবাহন চলার কারনে সলিং উঠে গেছে। তাই আমরা প্রায় ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কুমিল্লার ময়নামতি থেকে দেবিদ্বারের অংশ পর্যন্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ ইটের সলিং উঠিয়ে ঢালাইসহ বিটুমিন দিয়ে কাজ করার প্রস্তাবনা মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি।