কুমিল্লায় ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী অপহরণের পর উদ্ধার;অতপর অপহরণকারী স্বপন ধরা ছোঁয়া'র বাহিরে!

কুমিল্লায় ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী অপহরণের পর উদ্ধার;অতপর অপহরণকারী স্বপন ধরা ছোঁয়া’র বাহিরে!

প্রকাশিত: ১০:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২৫

কুমিল্লায় ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী অপহরণের পর উদ্ধার;অতপর অপহরণকারী স্বপন ধরা ছোঁয়া’র বাহিরে!

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী অপহরণ হওয়ার পর উদ্ধার হলেও ১০ দিনেও অপহরণকারী প্রধান আসামী মো: সাইফুল ইসলাম স্বপন এখনো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। মামলা সূত্রে জানাযায় কুমিল্লা নগরীর ৩নং ওয়ার্ডের রেইসকোর্স কাঠেরপুল এলাকার মা মঞ্জিল ১৪৩২ নম্বর বাসায় কবির হোসেনের পরিবার ভাড়া থাকেন। ভাড়া থাকার সুবাদে বাড়ির মালিকের আত্মীয় মো: সাইফুল ইসলাম স্বপন আসা যাওয়ার মাঝে কবির হোসেনের জমজ মেয়ের মধ্যে ২য় মেয়ে তাসফিয়া কবির (১৪)সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এমন সম্পর্কের বিষয়ে কবির হোসেন ও তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার বাড়ির মালিককে জানালে। তিনি বলেন স্বপন একজন বিবাহিত পূরুষ তার স্ত্রীর সাথে নাকি বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে কিছুদিন আগে এমনটি বাড়ির মালিক জানান। তাসলিমা আক্তার বলেন আমি বাড়ির মালিক স্বপনের আত্মীয়কে অনেক বুঝিয়ে বলারপরও তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি স্বপনের বিরুদ্ধে। স্বপন একজন লম্পট ও বখাটে প্রকৃতির লোক। গত ২১ মে বিকালে তাসফিয়া কবির কুরআন শিক্ষার উদ্দেশ্য বাসা থেকে বের হলে আর খুঁজে পাওয়া না গেলে। তাসফিয়া কবিরের মা তাসলিমা আক্তার একপর্যায় জানতে পারেন স্বপন তার মেয়েকে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে নিয়ে গেছে।পরে স্বপনের  মা, বাবা ও বোনের কাছে যোগাযোগ করিলেও কোন তথ্য দেয়নি। তারপর তাসলিমা আক্তার ২২ মে বাদি হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মো: সাইফুল ইসলাম স্বপনকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের নামে একটি অপহরণ মামলা দায় করেন।আসামিরা হলো  কুমিল্লা দেবিদ্দার উপজেলার বাগমারা গ্রামের (১)আবুল হাসেমের ছেলে -মো: সাইফুল ইসলাম স্বপন (২৭) তার মেয়ে – (২)শেফালী আক্তার(৪৫) ও স্বপনের পিতা :(৩) মো: আবুল হাসেম (৭০) ও স্বপনের মা রহিমা খাতুন (৫৫) মামলা নাম্বার – ৫৮ মে ২৫ কোতোয়ালি মডেল থানা কুমিল্লা। মামলার তিনদিন পর ২৫ মে স্বপনের পিতা ৩য় আসামী আবুল হাসেমকে পুলিশ আটক করে আদালতে প্রেরণ করেন এবং ঔদিন রাতেই ভিকটিম তাসফিয়া কবিরকে উদ্ধার করে আদালতের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ ।এদিকে অপহরনকারী ও মামলার প্রধান আসামী মো: সাইফুল ইসলাম স্বপন এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে। পুলিশ এখনো আটক করতে পারেনি। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: মোরশেদ আলম মুঠোফোনে জানান ৪ জনের নামে মামলা হয়েছে ভিকটিমকে উদ্ধার করে আদালতের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি ও ৩য় আসামি আবুল হাসেমকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।বাকি দুই আসামি শেফালী আক্তার ও রহিমা খাতুন জামিনে রয়েছে বলে জানায় এই কর্মকর্তা। তবে অপহরণকারী প্রধান আসামী সাইফুল ইসলাম স্বপনকে আটকের চেষ্টা করছি।