কুমিল্লায় মামলা প্রত্যাহার না করায় বাদী ও স্বাক্ষীদের মারধর কুমেক হসপিটালে ভর্তি ৪

কুমিল্লায় মামলা প্রত্যাহার না করায় বাদী ও স্বাক্ষীদের মারধর কুমেক হসপিটালে ভর্তি ৪

প্রকাশিত: ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৫

কুমিল্লায় মামলা প্রত্যাহার না করায় বাদী ও স্বাক্ষীদের মারধর কুমেক হসপিটালে ভর্তি ৪

স্টাফ রিপোর্টার।।
আজ সোমবার (১২ মে) দুপুর ১২ টায় কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার অন্তর্ভুক্ত বলরামপুর এলাকায় মামলা প্রত্যাহের জন্য আসামী পক্ষের লোকজন বাদী ও স্বাক্ষীদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করায় আহত ৪ জনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল হসপিটালে ভর্তি করেছেন।
আহতরা হলেন সোহাগ, আরিফ,ফারজানা আক্তার এবং হোসনেয়ারা বেগম। এ বিষয়ে ফরিদ মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় হাজির হয়ে ১১ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। এজাহার সূত্রে জানাযায় বাদী পেশায় একজন কৃষক। বিবাদীদের সাথে ঘটনার পূর্ব হইতে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য, বিরোধ এবং মামলা মোকদ্দমা চলিয়া আসিতেছে। পূর্ব বিরোধের জের হিসাবে উপরোক্ত বিবাদীরা আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনদেরক মারধর করার জন্য সময় এবং সুযোগ খুজিতে থাকে। কারনে অকারনে আমাদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হইয়া আমাদেরকে অহেতুক হয়রানী করিয়া থাকে। বিবাদীরা খারাপ এবং উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির লোক। গায়ের জোরে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করিয়া থাকে। তাহাদের ভয়ে এলাকার নীরিহ লোকজন মুখ খুলতে সাহস পায় না।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, আজ ভোর বেলা আরিফ, সোহাগ, হাসানগং বাড়ীর পার্শ্বের ধানী জমিতে ধান কাটতে যাই। আমাদের জমির ধান কেটে বাড়ীতে আনার পর বিবাদীরা দুপুর ১২.০০ টায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দা, ছেনি, লাঠি-সোটা, রড ইত্যাদি হাতে নিয়া বেআইনী জনতা দলবদ্ধ হইয়া আমাদের বসত বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করত: আমাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করিতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করায় বিবাদীরা আমাদেরকে আক্রমন করত: এলোপাথারী কোটাতে থাকে। উক্ত মারধর ও দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করার ফলে স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে কুমেক হসপিটালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
এ বিষয়ে ফরিদ মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, তারা বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় এলাকায় জোরজুলুম ও চাঁদাবাজি মাদক বিক্রি করে আসছিল। পদপরিবর্তনের ফলে তারা এখন বিএনপিতে যোগদিয়ে মাদকব্যবসার স্বর্গ গড়ে তুলেছে বলে জানান। স্থানীয় প্রভাবশালী কালাকবিরের গ্যাং এর ক্ষমতা এবং তাহার ইন্ধনে এসব অপকর্ম করে আসছে বলে অভিযোগের প্রকাশ।
আসামীরা হলো ১। জয়নাল আবেদীনের ছেলে, শাহ আলম (৫০) ২। মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে, মো: আবুল হোসেন (৪০), ৩। শাহ আলমের ছেলে, পাভেল (৩০), ৪। মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে, পারভেজ (২৩), ৫।আবুল হোসেনের ছেলে, মো: সাদ্দাম হোসেন (২৫), ৬। আবুল হোসেনের ছেলে, মো: শাকিল (১৯), ৭। মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে, মোঃ ইয়াছিন (৩৫), ৮। মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে, আব্দুস সালাম (৩২), ৯। সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী, আখি বেগম (২৫), ১০। শাহ আলমের স্ত্রী, পারভীন আক্তার (৩৮), সর্বসাং-দক্ষিণ বলরামপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা। ১১। মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে, মো: সোহাগ (৩৫), সাং-হারাতলী, খানা-সদর দক্ষিণ।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহিনুল ইসলাম জানান অভিযোগ পেয়েছি আসমীদের গ্রেফতারের জন্য চৌকস টিম মাঠে কাজ করছে। দ্রুত ঘটনারসাথে জড়িত ও ইন্ধনদাতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।