ইরানে হামলা: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে মানব সভ্যতা

ইরানে হামলা: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে মানব সভ্যতা

প্রকাশিত: ৭:২৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০২৪

ইরানে হামলা: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে মানব সভ্যতা

কুমিল্লার খবর ডেস্ক।।

অবিশ্বাস্য গতিতে বিশ্বব্যাপী ধেয়ে আসছে অর্থনৈতিক মন্দা। এর শুরুটা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ হলেও, চূড়ান্ত রূপ পেতে চলেছে তা ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে। ২৬ অক্টোবর রাতে ২০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ১৪০টা যুদ্ধ বিমান দিয়ে ইসলামী প্রজাতন্ত্রী ইরানে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল, এতে মাটি কামড়িয়ে অকুণ্ঠ সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। ভূমধ্যসাগরের উপকূলে ১৯৪৭-৪৮ সালে জন্ম লাভ করা ইসরাইল তার অস্তিত্ব সঙ্কটে এরইমধ্যে আগ্রাসন চালিয়ে দখলে নিয়েছে পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনের বিশাল অংশ। আর এমনটা সম্ভব হয়েছে পশ্চিমাদের প্রত্যক্ষ মদদ ও সামরিক হস্তক্ষেপে। এরচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় ফিলিস্তিনের দুই প্রতিবেশী দেশ ইসরাইলের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়া। নিকটতম এই দুই আরব প্রতিবেশী হলো মিশর ও জর্ডান। যে দেশ দু’টি ইসরায়েলের সাথে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে।মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও দখলদার রাষ্ট্রকে মিশর ও জর্ডানের এমন স্বীকৃতি প্রদানের পরেও গোটা মুসলিম বিশ্ব তা নীরবে হজম করে। কোন প্রকার কার্যকরী ভূমিকা নেয়নি আরব বিশ্ব কিংবা ওআইসি। আর তখন থেকেই তথাকথিত মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে হেলছে-দুলছে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মানদণ্ড। এর পেছনে রয়েছে মুসলিম দেশগুলোর মুনাফেক নেতৃবৃন্দের বিষাক্ত থাবা। ৬৩১ খ্রিষ্টাব্দে আবদুল্লাহ ইবনে উবাই থেকে শুরু করে ১৭০০ শতাব্দীর মীর জাফর-মীর সাদিক। যাদের মুনাফেকি আচরণের খেসারত দেয় সুবিশাল সাম্রাজ্য ও জাতি-গোষ্ঠী। এখনো ইরান, ইরাক, ফিলিস্তিন, লিবিয়া, সিরিয়া, লেবানন ও ইয়েমেনসহ আরব বিশ্বের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে মুনাফিকদের বিষ বোতল। মুনাফেকদের ঘটনা লগ্নে চিহ্নিত করা না গেলেও, একটা পর্যায় এসে তাঁদের ভাগ্যাকাশে নেমে আসে এক করুণ পরিণতির বাস্তবতা। সেটাই ঈমানদারদের আসল বিজয়।বিশ্ব মুসলিম এখন নিজ ঘরে দু’ভাগে বিভক্ত। ঈমানদার ও মুনাফেক। তথা হক-বাতিল। আর এই বিভক্তির অবসানের দায়িত্ব ক্বাবার মালিকের। আসছি ইরানের ওপর শনিবার রাতের হামলার বিষয়ে। বিশ্বের ১৪৫টি সামরিক শক্তিধর দেশের মধ্যে ১৪তম অবস্থানে থাকা ইরান যদি এখন পাল্টা হামলা চালায়, তবে প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ ভাবে এ যুদ্ধে জড়াবে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশই। এতে বিশ্ব বাণিজ্য বাঁধাগ্রস্ত হওয়ায় বাড়বে আমদানি নির্ভর পণ্যের দাম। জ্বালানি খাত পড়বে চ্যালেঞ্জের মুখে। কমবে বিভিন্ন প্রকার গাড়ীর মূল্য। শুধু তাই